রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

অন্যের সাজা খাটছেন মিনু পাগলী ৩ বছর

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর পরিবর্তে প্রায় তিন বছর ধরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন মিনু বেগম ওরফে মিনু পাগলী।

বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতের নজরে আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য নথি দ্রুত হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁইয়া এই আদেশ দেন।

আদেশ দেওয়ার আগে আদালত দণ্ডিত আসামির ছবির সঙ্গে কারাবন্দি মিনু পাগলীর ছবির গড়মিল দেখতে পান। এ সময় আদালত মিনু পাগলীর বক্তব্য শোনেন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত কুলসুমী ও তার স্বজনরা কীভাবে প্রতারণা করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন তা অবহিত হন।

মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নোমান চৌধুরী। তিনি জানান, মামলাটি এখন হাইকোর্টের আপিল শুনানিতে থাকায় উপ-নথি পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিনা অপরাধে অন্যের হয়ে কারাগারে বন্দি থাকা মিনু পাগলীকে আইনি সহায়তা দেওয়া আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ রাইজিংবিডিকে জানান, চট্টগ্রাম নগরীর একটি হত্যা মামলার মূল আসামি কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর যাবজ্জীবন হয়। তার পরিবর্তে কারাভোগ করছেন মিনু পাগলী।

গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, ২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল নগরীর কোতয়ালি থানার রহমতগঞ্জ বাংলা কলেজ এলাকায় খুন হন পোশাকশ্রমিক কোহিনুর। কোহিনুরের বাবা নুরুল ইসলাম মামলা করলে ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর একমাত্র আসামি কুলসুমীকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ। এর এক বছর পর ২০০৯ সালের ১৮ জুন জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যান তিনি।

গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, মূল আসামি পলাতক থাকা অবস্থায় মামলার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর কুলসুমীর যাবজ্জীবন সাজা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার প্রায় এক বছর পর ২০১৮ সালের ১২ জুন কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মিনু পাগলীকে কুলসুমী সাজিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করান কুলসুমীর আইনজীবী। সেদিন থেকে কারাবন্দি রয়েছেন মিনু পাগলী।

আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, কারাগারের নারী ওয়ার্ড নিয়মিত পরিদর্শনের সময় অন্যের হয়ে মিনু পাগলীর জেল খাটার বিষয়টি নজরে আসে সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খানের। তিনি বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানান। মিনু পাগলীকে সোমবার (২২ মার্চ) আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর আদালত নিশ্চিত হন সাজা খাটতে থাকা মিনু পাগলী দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নন। সুত্র: রাইজিংবিডি।

ভয়েস/ জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION